- Advertisement -
- Advertisement -
শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সংগঠন তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাতের কর্মসূচি পালন করবে। সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার এক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শেরেবাংলা (বাংলার বাঘ) নামে পরিচিত ছিলেন।
অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। শিক্ষানুরাগী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জীবন্ত প্রতীক হিসেবেও ইতিহাসের পাতায় তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর ঝালকাঠি জেলার রাজাপুরের সাতুরিয়া গ্রামের মিঞা বাড়িতে জন্ম শেরে বাংলা। উপমহাদেশের অসাধারণ প্রজ্ঞাবান এই রাজনীতিবিদ কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-৪৩), পূর্ববাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পূর্ববাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট গঠনে অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন তিনি।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও তার অবদান ছিল। ১৯৪০ সালে তিনি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
- Advertisement -