26.8 C
Sherpur
সোমবার, মে ২৯, ২০২৩

রুশ জ্বালানি তেল আমদানি ৩৩ গুণ বাড়িয়েছে ভারত

বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক...

বাড়ছে আবারো গ্যাসের দাম

সাত মাসের মাথায় আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানোর...

সংসদ উপনেতা হিসেবে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মতিয়া চৌধুরী

গত ১২ জানুয়ারি রাতে সংসদ ভবনে আওয়ামী...

কারও কাছে মাথানত করিনি

জাতীয়কারও কাছে মাথানত করিনি
- Advertisement -
- Advertisement -

এক/এগারোর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন ও চাপে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও কাছে কোনোদিন মাথানত করিনি, জীবনও ভিক্ষা চাইনি। শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীরা গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যতবার গ্রেপ্তার হয়েছি, ততবারই নেতাকর্মীদের চিঠি দিয়েছি। চিঠির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি। দেশবাসীকে চিঠি দিয়েছি।  তিনি বলেন, দেশে ফেরার পর ৮৩ সালে অ্যারেস্ট করা হয়। ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। কারও কাছে কোনোদিন মাথানত করিনি, জীবন ভিক্ষা চাইনি। আমি পরিবার থেকে, বাবার কাছ থেকে এটা শিখেছি যে, কারও কাছে, কোনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করবো না। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবাক হয় যে, ১৫ দিনে আমার মুক্তির জন্য ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়।

এটাই আওয়ামী লীগ। জনগণই হলো আমাদের শক্তি। বিএনপি’র ক্ষেত্রে জন্মই হলো আজন্ম পাপ।

জনগণ বিএনপি’র শক্তি নয়।  বাংলাদেশের কোনো উন্নয়ন ও অর্জনকে দেশের কিছু মানুষ কেন মেনে নিতে পারছে না- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে কেন একদল মানুষ মনে কষ্ট পায়? কেন তারা কোনো অর্জনকে বাংলাদেশের অর্জন বলে মেনে নিতে পারছে না?  প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে এত বাধা, তবুও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করেছি। তারপরও কিছু মানুষ এটিকে অর্জন হিসেবে নিতে পারে না। ‘কেন তাদের এই দৈন্যতা?’ কোথায় তাদের সমস্যা?  তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশে প্রবৃদ্ধি যখন নেতিবাচক  তখন আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশ মহামারির সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাঁচ শতাংশের বেশি অর্জিত হয়েছে এবং সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটও দিয়েছে।  আওয়ামী লীগকে সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সর্বদাই তৎপর রয়েছে।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ একটি আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করে, যা প্রতিটি নেতাকর্মীর মনে রাখতে হবে এবং কোনো লোভের জন্য দেশকে কারো হাতে তাঁরা তুলে দিতে পারে না। আওয়ামী লীগকে সবসময় উজানে নাও ঠেলেই চলতে হয়েছে। জনগণই হলো আমাদের শক্তি।  অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। প্রথমে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপরে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী  লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ), তাঁতী লীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ এবং গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

- Advertisement -
spot_img

অন্যান্য সংবাদ সমূহ

Check out other tags:

জনপ্রিয় সংবাদ স্মূহঃ