দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্নের সেতু এখন বাস্তব, নিজস্ব অর্থায়নে দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এই প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে গতকাল । আজ থেকে পদ্মার থই থই জলের উপর দিয়ে উড়ে যাবে একের পর এক যান। ফেরির জঞ্জাল, দীর্ঘ অপেক্ষা, অনিশ্চিত সময়ের উৎকণ্ঠার অতীত পেরিয়ে পদ্মা বয়ে নিয়ে এসেছে নতুন এক দিন। নতুন এক উদ্দীপনা। দক্ষিণের সঙ্গে রাজধানীর দূরত্ব কমিয়ে আনা এই সেতু হবে দক্ষিণ-পশ্চিমে বাণিজ্য বিনিয়োগ আর অর্থনীতির প্রাণসঞ্চারি এক মাধ্যম। সেতুর উদ্বোধন ঘিরে পদ্মাপাড় ছিল উৎসবে বর্ণিল। উৎসবে যোগ দিয়েছিল পুরোদেশ।
বর্ণিল আয়োজনে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে স্বপ্নের সেতুর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দেন প্রধানমন্ত্রী। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে বিমান বাহিনীর মনোজ্ঞ ডিসপ্লে উপভোগ করেন। এরপর শিবচরে জনসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাওয়া প্রান্তে সেতু উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সেতুর দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। বাঙালির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক রঞ্জিত হয়েছে ত্যাগ তিতিক্ষা আর রক্ত ধারায়।
সেতু উদ্বোধনের পর মাদারীপুরের শিবচরে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সমর্থন দিয়েছেন। জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে সফল হয়েছি। প্রয়োজনে, দেশের উন্নয়নে জীবন দিয়ে হলেও কাজ করে যাবো। আগামী প্রজন্মের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।
আরও উন্নত জীবন যেন আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা পায় তার ব্যবস্থাও আমি করবো। আজকে আপনাদের কাছে এটাই আমার ওয়াদা। শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।