পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফ মারাত্মক অসুস্থ। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, তিনি মারা গেছেন। এ খবর পাওয়ার পর তার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- আমি মরি নাই। দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধনী ছিলেন। সেখান থেকে তাকে বাসায় পাঠানো হয়েছে। পাকিস্তানে তার ফেরত আসার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি শনিবার এ মন্তব্য করেছেন। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, ক্ষমতাসীন জোটের বড় শরিক দল পিএমএলএনের সিনিয়র একজন নেতা খাজা আসিফ। এই দলটির মূল নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ১৯৯৯ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন পারভেজ মোশাররফ।
সেই প্রসঙ্গ তুলে খাজা আসিফ টুইটারে বলেছেন, সব বিষয়ে অতীতকে টেনে আনা উচিত না। সাবেক সেনা শাসকের জন্য প্রার্থনা, তিনি যেন সম্মানের সঙ্গে জীবনের বাকিটা সময় কাটাতে পারেন।
ওদিকে পারভেজ মোশাররফের পরিবার শুক্রবার পরিষ্কার করেছে যে, তার ভেন্টিলেটর খুলে নেয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহ তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
পারভেজ মোশাররফ মারা গেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই বিবৃতি দেয়া হয়। পারভেজ মোশাররফ মারা যাওয়ার ওই ভুয়া খবর পাকিস্তান ও ভারতের কিছু প্রকাশনা প্রচার করে।
অবসরপ্রাপ্ত এই জেনারেলের অসুস্থতার খবর পাওয়া যায় ২০১৮ সালে। ওই সময় তার দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগ ঘোষণা দেয় যে, বিরল একটি রোগ অ্যামাইলোডোসিসে ভুগছেন মোশাররফ। বিভিন্ন অঙ্গে ও সারা শরীরের টিস্যুতে অ্যামাইলয়েড নামের অস্বাভাবিক প্রোটিন বৃদ্ধির ফলে এই বিরল রোগের সৃষ্টি হয়। এর ফলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং টিস্যুগুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। দলটির বৈদেশিক বিষয়ক সভাপতি আফজাল সিদ্দিকী বলেছেন, মোশাররফের এই রোগটি তার নার্ভাস সিস্টেমকে দিনকে দিন দুর্বল করে দিচ্ছে। এক সময় তিনি লন্ডনে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।