20.4 C
Sherpur
শনিবার, ডিসেম্বর ২, ২০২৩

রুশ জ্বালানি তেল আমদানি ৩৩ গুণ বাড়িয়েছে ভারত

বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিকারক...

বাড়ছে আবারো গ্যাসের দাম

সাত মাসের মাথায় আবারো গ্যাসের দাম বাড়ানোর...

সংসদ উপনেতা হিসেবে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মতিয়া চৌধুরী

গত ১২ জানুয়ারি রাতে সংসদ ভবনে আওয়ামী...

সামনের সময় হবে সবচেয়ে জটিল, ত্যাগ স্বীকার করুন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিকসামনের সময় হবে সবচেয়ে জটিল, ত্যাগ স্বীকার করুন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী
- Advertisement -
- Advertisement -

দেশবাসীকে সতর্ক করলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমাসিংহে। সোমবার তিনি জাতির উদ্দেশে এক বিশেষ বিবৃতিতে বলেছেন, সামনে কয়েকটি মাস হবে সব নাগরিকের জীবনে সবচেয়ে জটিল। এ সময়ে কিছু ত্যাগ স্বীকারে দেশবাসীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে এ সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানান। ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রকৃত সত্য লুকানোর এবং জনগণের কাছে মিথ্যা বলার কোনো ইচ্ছা তার নেই। বলেন, যদিও এসব সত্য কথা সুখকর নয় এবং ভয়ার্ত, তবু এটাই হচ্ছে সত্যিকার পরিস্থিতি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মিরর।

রণিল বিক্রমাসিংহে বলেন, আমরা যে সময় অতিবাহিত করেছি তার চেয়েও কঠিন সময় অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের সামনে আসবে। আমরা বিবেচ্য চ্যালেঞ্জ এবং প্রতিকূলতার মোকাবিলা করবো। সামনের মাসগুলোতে আমাদের বিদেশি বন্ধুরা সহায়তা করবে। এরই মধ্যে তারা সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
তাই সামনের মাসগুলোতে আমরা ধৈর্য্য ধারণ করবো। তাহলেই আমরা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবো। তা করতে আমাদেরকে নতুন পথ অবলম্বন করতে হবে।

রণিল বিক্রমাসিংহে দীর্ঘ বিবৃতিতে বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। এই পদের জন্য অনুরোধ করিনি। দেশ যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তার প্রেক্ষিতে এই পদে প্রেসিডেন্ট আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আমি এই দায়িত্ব নিই নি। আমি এই দায়িত্ব নিয়েছি। কারণ, ইউনিভার্সিটি অব কলম্বোর ফ্যাকাল্টি অব ল’ থেকে বিনাবেতনে পড়ার সুবিধা নিয়েছি। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি একেবারেই অনিশ্চিত। সাবেক সরকারের রাজস্ব বাজেট ছিল ২.৩ ট্রিলিয়ন রুপির। আর এ বছর এক্ষেত্রে বাস্তব প্রক্ষেপণ হলো ১.৬ ট্রিলিয়ন রুপি। এ বছর অনুমিত সরকারি খরচ হলো ৩.৩ ট্রিলিয়ন রুপি। কিন্তু সুদের হার বৃদ্ধি এবং সাবেক সরকারের অতিরিক্ত খরচের জন্য সরকারি মোট খরচ ৪ ট্রিলিয়ন রুপি। এ বছর বাজেট ঘাটতি ২.৪ ট্রিলিয়ন রুপি, যা মোট জাতীয় প্রবৃদ্ধির শতকরা ১৩ ভাগের সমান। অনুমিত বিদেশি ঋণ আছে ৩,২০,০০০ কোটি রুপি। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১,৯৫,০০০ কোটি রুপি। ফলে এখন বাকি আছে ১২৫০০০ কোটি রুপি।

রণিল বিক্রমাসিংহে বলেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরে আমাদের বৈদেশিক রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৭৫০ কোটি ডলার। কিন্তু এখন এ খাতে ১০ লাখ ডলার খুঁজে পাওয়া ট্রেজারির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। গ্যাস আমদানির জন্য প্রয়োজন ৫০ লাখ ডলার। সেই অর্থ সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এসব ইস্যু সত্ত্বেও আমরা বেশকিছু গভীর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি। লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষারত মানুষদের স্বস্তি ফিরাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের প্রয়োজন ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বর্তমানে আমাদের মাত্র একদিন চলার মতো পেট্রোল মজুদ আছে। এক্ষেত্রে ডিজেল শিপমেন্ট পৌঁছেছে রোববার। ফলে ডিজেলের সঙ্কট কিছুটা হলেও কমবে। ভারতের ঋণের আওতায় আগামী ১৮ই মে এবং ১লা জুন আরও দুটি ডিজেল শিপমেন্ট পৌঁছাবে। উপরন্তু ১৮ই এবং ২৯শে মে পেট্রোলের দুটি শিপমেন্ট আসার আশা করা যাচ্ছে। ৪০ দিনের মধ্যে অশোধিত তেল ও ফার্নেস ওয়েল নিয়ে ৩টি জাহাজের শ্রীলঙ্কার নৌসীমানার মধ্যে নোঙর করার কথা। তিনি আরও বলেন, কেরোসিন এবং ফার্নেস ওয়েল খুবই জরুরি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, স্থানীয় বিভিন্ন রাজ্য, বেসরকারি ব্যাংক এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো সবাই ডলার সঙ্কটে ভুগছে। আমাদের হাতে খুবই সামান্য পরিমাণ মার্কিন ডলার আছে। এসব পরিস্থিতিতেও আমরা ভারতের সহায়তায় এই প্রতিকূল সময়ে রোববার ডিজেল শিপমেন্ট আনতে সক্ষম হয়েছি।

রণিল বিক্রমাসিংহে বলেন, ওষুধের ক্ষেত্রেও ভয়াবহ উদ্বেগ রয়েছে। হার্টের বিভিন্ন ওষুধ এবং অপারেশনের সরঞ্জাম সহ গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের ভয়াবহ সঙ্কট বিরাজ করছে। ওষুধ, মেজিকেল সরঞ্জাম, রোগীর খাদ্য যারা সরবরাহ দেন তাদেরকে গত চার মাস ধরে পাওনা পরিশোধ করা হয় না। তারা সরকারের কাছে ৩৪০০ কোটি রুপি পাবেন। এমনিতরো অসংখ্য সমস্যার কথা তুলে ধরেন রণিল বিক্রমাসিংহে।

- Advertisement -
spot_img

অন্যান্য সংবাদ সমূহ

Check out other tags:

জনপ্রিয় সংবাদ স্মূহঃ